পোস্টগুলি

মার্চ, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ঘাগুটিয়া পদ্মবিল - আখাউড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ছবি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী গ্রাম ঘাগুটিয়া। আর ওপারেই ভারতের পশ্চিম ত্রিপুরার আমতলী থানার মাধবপুর গ্রাম। বাংলাদেশ-ভারতের এই দুটি গ্রামের মাঝখানেই এই বিশাল ঘাগুটিয়া পদ্ম বিলের (Ghagutia Poddo Beel) অবস্থান যা ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে। তবে বিলটার একটা বড় অংশই পড়েছে বাংলাদেশের ঘাগুটিয়া গ্রামে। হিন্দু ধর্মালম্বীদের দুর্গা দেবীর পূজায় কাজে লাগে এই পদ্ম ফুল। সে জন্য আশ্বিন মাসে এ বিল থেকে বাংলাদেশ-ভারতের মানুষ প্রচুরসংখ্যক পদ্ম ফুল সংগ্রহ করে থাকে। ভারতের স্থানীয় বাজারে এসব পদ্ম বিক্রিও হয়। ঘাগুটিয়া পদ্মবিল এর আগে আরেকটি ছোট পদ্মবিল এর দেখা পরে সেটা স্থানীয়দের কাছে মীনারকোট পদ্ম বিল নামে পরিচিত। ঘাগুটিয়া বিজিবি চেকপোস্টের ঠিক পিছনেই পদ্মবিলটি অবস্থিত। পদ্ম ফুলের বিলের টানে এখানে প্রতিবছর প্রকৃতিপ্রেমীরা ছুটে আসে। দুর্গাপূজাসহ বিভিন্ন পূজার সময়, বিশেষ করে ভারতের লোকজন এসে ওই বিল থেকে পদ্ম ফুল নিয়ে যায়। কখন যাবেন প্রতিবছর আষাঢ় থেকে কার্তিক মাস পর্যন্ত ১২০ একর বিস্তীর্ণ ঘাগুটিয়া বিলে পদ্ম ফুল ফোটে। বিল থেকে পানি নেমে গেলে ধীরে ধীরে পদ্মও এ...

পেটে মেদ জমার কারন এবং সমাধান

ছবি
পেটে মেদ জমা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। সামান্য কিছু অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে নিজেদের সুস্থ রাখতে পারি আমরা। জেনে নিন কী কারণে পেটে দ্রুত মেদ জমে।  ব্যস্ত অবস্থায় খাবার খাওয়া ও ভালো করে খাবার চিবিয়ে না খাওয়ার কারণে পেটে জমে যেতে পারে মেদ। হঠাৎ ক্ষুধা লাগলে ফাস্টফুড খেয়ে ফেলেন? ফাস্টফুড এবং কোল্ড ড্রিংক পেটে মেদ জমিয়ে দেয় খুব দ্রুত। মেদ কমানোর জন্য দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকাটাও কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এতে উল্টো পেটে মেদ জমে যায়। নির্দিষ্ট সময় পর পর স্বাস্থ্যকর খাবারই আপনাকে রাখবে ফিট ও সুস্থ। অনিদ্রা পেটের মেদ বাড়ায়। প্রতি রাতে অন্তত আট ঘণ্টা ঘুম খুবই জরুরি। খাদ্য তালিকায় পর্যাপ্ত তরল খাবার রাখা জরুরি। পানি, ফলের রস এগুলো পান করা চাই প্রতিদিন। পাশাপাশি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারও খাবেন নিয়ম করে। কেবল কার্বোহাইড্রেটে নির্ভরশীল হয়ে গেলে পেটে জমবে মেদ।  একটানা অনেকক্ষণ বসে থাকা, শরীরচর্চা না করাও পেটে মেদ জমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। সকালের নাস্তা কখনও বাদ দেবেন না। দিনের শুরুতে পেট ভরে না খেলে যেমন সারাদিন কাজ করার শক্তি পাওয়া যায় না, তেমনি পেটেও অহেতুক মেদ জমে যায়

হরিপুর বড়বাড়ি এবং হরিপুর রাজবাড়ি

ছবি
হরিপুর বড়বাড়ি , ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলাস্থ হরিপুর ইউনিয়নে অবস্থিত। ১৮শ শতাব্দীতে প্রাসাদটি জমিদার কৃষ্ণপ্রসাদ রায় চৌধুরী (১৮৭০-১৯৩৬) কর্তৃক নির্মিত হয়েছিল। ধরন - প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন অবস্থান - নাসিরনগর উপজেলা অঞ্চল - ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিচালকবর্গ - বাংলাদেশ সরকার মালিক - বাংলাদেশ সরকার অবস্থান হরিপুর বড়বাড়ি তিতাস নদীর পূর্ব পারে অবস্থিত। বাড়িটি 'হরিপুর জমিদারবাড়ি' বা 'হরিপুর রাজবাড়ি' নামেও পরিচিত। এটি গ্রামের পশ্চিম পার্শে এবং নাসিরনগর সদর হতে ১৫ কিমি দক্ষিণপূর্বে তথা নাসিরনগর উপজেলা ও মাধবপুর উপজেলার সংযোগ পথে অবস্থিত। বিশেষত, বর্ষা মউসুমে যখন পানিতে চারদিক ভরে উঠে তখন এর সৌন্দর্য অনেকাংশে বেড়ে যায়। প্রাসাদটির ভৌগোলিক অবস্থান ২৪° ৬'২৯.৪১"উঃ, ৯১°১৫'২৬.৩৪"পূঃ। নির্মাণশৈলী হরিপুর বড়বাড়ি একটি দুই গম্বুজ এবং ত্রিতল বিশিষ্ট বাড়ি। বারিটির আয়তন এবং আড়ম্বরপূর্ণ স্থাপত্য ঐতিহাসিক যুগের শৈল্পিক নৈপুণ্যের স্বক্ষর বহন করে। প্রাসাদটি প্রায় ৫ একর জমির উপর নির্মিত যাতে ৬০টি কক্ষে নাট্যশালা, দরবার হল, গুদাম, গোশালা, রন্ধনশ...

কাইতলা জমিদার বাড়ি, নবীনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ছবি
কাইতলা জমিদার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন। যা আজও ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে রয়েছে। কাইতলা জমিদার বাড়ি সাধারণ তথ্য ধরন বাসস্থান অবস্থান নবীনগর উপজেলা শহর নবীনগর উপজেলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা দেশ বাংলাদেশ খোলা হয়েছে অজানা স্বত্বাধিকারী বিশ্বনাথ রায় চৌধুরী কারিগরী বিবরণ পদার্থ ইট, সুরকি ও রড ইতিহাস রহস্যময়ী কাইতলা জমিদার বাড়ি আজ বিধ্বস্ত বিপর্যস্ত।বিলাসিনী তার আলো ঝলমলে রূপের সাথে হারিয়েছে গৌরবও।বিশ্বাস করতে একটু ভাবতে হয় এক সময় সেই দু'শ বছর পূর্বে ত্রিপুরা রাজার আমলে (অবিভক্ত ভারত শাসনামলে)এটি ছিল ত্রিপুরা রাজ্যের একটি পূর্ণাঙ্গ জমিদার বাড়ি । ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার বিশাল আয়তনের উপর প্রতিষ্ঠিত কাইতলার প্রাণ কেন্দ্রে ছিল সেই জমিদারের প্রাসাদ । ব্রিটিশ শাসনামলে ভারতবর্ষের অধীন বৃহওর কুমিল্লার শাসক ছিলেন ত্রিপুরার রাজা বিরেন্দ্র কিশোর মানিক্য। ১৩১৯ সাল থেকে ১৬৬৬ পর্যন্ত ২৪ জন রাজা বৃহত্তর কুমিল্লার ব্রাহ্মণবাড়ীয়া শাসন করেন। সেসব রাজাদের অধীনেই ছিলেন জমিদাররা। আর তাদের অধীনে ছিলেন তালুকদাররা। জমিদারের এ বাড়ি বর্তমানে এলা...

আরিফিল মসজিদ | আড়িফাইল মাজার

ছবি
আরিফিল মসজিদ (আড়িফাইল মসজিদ নামে পরিচিত) বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক স্থাপত্য যার অবস্থান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার আরিফাইল গ্রামে। এটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এর তালিকাভুক্ত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা। স্থানীয়ভাবে এটি আইড়ল বা আড়িফাইল নামে পরিচিত। মসজিদটি সরাইল উপজেলা সদরের আরিফাইল গ্রামে সাগরদিঘীর পাশে অবস্থিত। সদর হতে এর দূরত্ব অর্ধ কিলোমিটার। ইতিহাস মসজিদটি নির্মিত হয় ১৬৬২ সালে। স্থানীয় জনশ্রুতি অনুসারে দরবেশ শাহ আরিফ এই মসজিদটি নির্মাণ করেন এবং তার নামানুসারে এই মসজিদের নামকরণ করা হয়। অবকাঠামো মসজিদটির আয়তন ৮০x৩০ ফুট এবং দেয়ালের পুরুত্ব প্রায় সাড়ে পাঁচ ফুট । মসজিদটির মোট প্রবেশপথ ৫ টি , যার তিনটি হল পূর্বদিকে এবং বাকিদুটি যথাক্রমে উত্তর ও পূর্বদিকে। মসজিদের চার কোনায় চারটি বুরুজ রয়েছে। এটিতে মোট তিনটি গম্বুজ রয়েছে। গম্বুজগুলোর নিচে মসজিদের অভভন্তরভাগে তিনটি বে রয়েছে যা ভিতরের অংশকে তিন ভাগে ভাগ করেছে। গম্বুজগুলোতে পদ্মফুল অঙ্কিত রয়েছে। মসজিদের দেয়ালের বাইরের দিকটি চারকোণা খোপ দিয়ে সজ্জিত। এটি সংরক্ষনের জন্য টাইলস ও চুনকাম করা হয়েছে। তবে পূর্বের ...

কুল্লাপাথর শহীদ স্মৃতিসৌধ

ছবি
কুল্লাপাথর শহীদ স্মৃতিসৌধ বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলায় অবস্থিত শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধিস্থল।   কুল্লাপাথর শহীদ স্মৃতিসৌধ বা শুধু কুল্লাপাথর বা কোল্লাপাথর বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের একটি সমাধিস্থল। একটি ছোট টিলার উপরে এই সমাধিস্থল অবস্থিত। কসবা বাংলাদেশের একটি সীমান্তবর্তী উপজেলা যা মুক্তিযুদ্ধের সময় ২ নম্বর সেক্টরের আওতায় ছিল এবং এর পাশের ভারতের আগরতলা, যেখানে মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছিল। প্রশিক্ষণ ক্যাম্প থাকার কারণে এ অঞ্চলটি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অন্যতম লক্ষে পরিণত হয়েছিল ফলে অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে এ এলাকায় বেশি যুদ্ধ সংগঠিত হয় এবং বিপুল সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাতবরণ করেন। এখানে দুজন বীরবিক্রম, একজন বীরউত্তম, দুজন বীরপ্রতীক সহ মোট ৪৮ জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সমাধি রয়েছে। এখানকার প্রতিটি কবরের উপরেই লেখা রয়েছে মুক্তিযোদ্ধার নাম এবং ঠিকানা। মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধা আবদুল করিম এবং তার আত্নীয়রা মিলে তার পৈতৃক ভিটায় মুক্তিযোদ্ধাদের...

আখাউড়া স্থল বন্দর, আখাউড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ছবি
ভারতের ত্রিপুরা, আসাম সহ ৭টি রাজ্যে প্রবেশের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবস্থিত স্থলবন্দর। ১৯৯৪ সালে চালু হয় এই স্থল বন্দরটি। এই স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন মাছ, পাথর, সিমেন্ট, ইট, বালি, শুটকী, প্লাস্টিক সামগ্রী, তুলাসহ প্রায় ৪২টি বাংলাদেশি পণ্য ভারতে রফতানি হতো। এসব পণ্য রফতানি করে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে বাংলাদেশ।ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ট্রানজিট চুক্তি সাক্ষরিত হওয়ায় এই স্থল বন্দরের গুরুত্ব ও পণ্য পরিবহনের পরিমান প্রচুর বেড়েগেছে । ১৯শে এপ্রিল ২০১১ থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পন্য পরিবহন আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয় । পন্য পরিবহন হলেও এর মাশুল নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।   আয় বাড়লেও পিছিয়ে বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন গত জুলাই মাস থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত আখাউড়া স্থলবন্দরের আয় হয়েছে প্রায় ৫৩ লাখ টাকা। দীর্ঘদিন পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে পুরোদমে ভারত থেকে পণ্য আমদানি শুরু হয়েছে। রপ্তানির বিপরীতে আশানুরূপ হারে পণ্য আমদানি হওয়ায় করোনা মহামারির মাঝেও চাঙ্গাভাব বিরাজ করছে দেশের অন্যতম বৃহৎ এ স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে। এতে করে বন্দ...

রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান রেলওয়ে সেতু বা ভৈরব দ্বিতীয় রেলওয়ে সেতু

ছবি
রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান রেলওয়ে সেতু বা ভৈরব দ্বিতীয় রেলওয়ে সেতু  বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব ও আশুগঞ্জ   উপজেলার মাঝে মেঘনা নদীর উপর অবস্থিত একটি রেলওয়ে সেতু। ইতিহাস ২০১৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর ঢাকা-চট্টগ্রাম ডাবল লাইনের অংশ হিসেবে দ্বিতীয় ভৈরব রেল সেতুর নির্মাণ শুরু হয়। ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইরকন ও এফকন্স যৌথভাবে বর্তমান ভৈরব প্রথম রেলওয়ে সেতুর ৪০ মিটার দক্ষিণ প্রান্তে আরও একটি রেল সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করে। প্রকল্পের মেয়াদ অনুযায়ী ২০১৬ সালের জুন মাসে সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত ২০১৫ সালে ঘন ঘন হরতাল অবরোধের প্রভাব আর বর্ষা মৌসুমে নদীতে তীব্র স্রোত থাকায় সেতুটির নির্মাণ কাজ বাধাগ্রস্ত হয়, ফলে প্রকল্প নির্ধারিত সময়ে শেষ করা যায়নি। প্রথম ধাপে নির্মাণ কাজের সময়সীমা ৬ মাস বাড়িয়ে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু ভারতের কলকাতা থেকে নৌপথে বাংলাদেশের ভৈরবে সেতুর ‘স্প্যান’ আনার পথে নৌ-দুর্ঘটনার শিকার হয় একটি কার্গো। ফলে সেতুটির নির্মাণ কাজে বিলম্ব হয় এবং পরে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দ্বিতীয় দফায় আরও ৬ মাস প্রকল্পের...

রসুন খাওয়ার উপকারিতা

ছবি
রসুন খাওয়ার উপকারিতা রসুনের চেয়ে উপকারী মসলাজাতীয় খাদ্য উপাদান খুব কমই আছে। রসুনের প্রাকৃতিক গুণের কথা কমবেশি আমরা সকলেই জানি। অনেকেই রসুন খেতে চাননা। তবে খালিপেটে রসুনের উপকারিতা হার মানাবে যে কোন ফসলকে। খালি পেটে রসুন খেতে হবে সকালের নাস্তার করার আগেই। অনেকে চিবিয়ে খেতে পারেন না কারণ রসুলের এক ধরনের কড়া ঝাঁঝ আছে। সেক্ষেত্রে পানি দিয়ে গিলে খেতে পারেন।  এক্ষেত্রে অবশ্যই টুকরো করে নেবেন। তবে রসুন চিবিয়ে খাওয়াটাই উত্তম। রসুনের উপকারিতা : রসুন একটি শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ করে। গবেষকদের মত, খালি পেটে রসুন গ্রহণ হাইপারটেনশন ও স্ট্রেস কমাতে সহায়তা করে। পেটে হজমের সমস্যা থাকলে তাও দূর করে। এছাড়া এটি স্ট্রেস থেকে পেটে গ্যাসের সমস্যা  দূরীকরণে ভূমিকা রাখে রসুন।  পেটের অন্যান্য গণ্ডগোলজনিত অসুখ যেমন ডায়রিয়া সারাতে উপকারী রসুন।  রক্ত পরিশুদ্ধ করণে ও লিভারের ফাংশন ভালো রাখতে ভূমিকা রাখরসুন পুরুষের যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূণ ভূমিকা রাখে।

গঙ্গাসাগর দিঘী - আখাউড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ছবি
গঙ্গাসাগর দিঘী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলায় অবস্থিত । এই দিঘীটিকে ঘিরে নানান লোককথা প্রচলিত আছে। এ দীঘির রয়েছে ঐতিহাসিক গুরুত্বও। চমৎকার প্রাকৃতিক শোভা রয়েছে এই দিঘীর। সূর্যের সোনালি আলোয় চিকচিক করে দীঘির জল। দেখলেই মন ভরে যায়। গঙ্গাসাগর দীঘির ইতিহাস কথিত আছে, প্রায় পনেরশ বছর আগের ঘটনা। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজা বীর বিক্রম ঈশ্বরচন্দ্র মানিক্য বাহাদুর তৎকালীন সময়ে কর আদায় করতে আসতেন কুমিল্লায়। তখন এ অঞ্চলে পানীয় জলের সুব্যবস্থা ছিল না। এলাকার চারদিকের শুষ্ক পরিবেশ দেখে রাজা চিন্তিত হন। আশে পাশে কোন দীঘি নেই। তখন তিনি দীঘি খনন করার কথা ভাবলেন। যেমন ভাবনা তেমন কাজ, খনন করা হল বিশাল এই দীঘি। শুধু টলটলে পানির দীঘি নয়, এর উত্তরে রাজা বিশাল একটি ঘাটও তৈরি করে দিলেন। গঙ্গা দেবীর নামানুসারে দীঘির নাম দিলেন গঙ্গাসাগর।  এই দিঘীর সৃষ্টি নিয়ে আরো একটি কাহিনী প্রচলিত আছে। অতীতে নৌ-পথের গুরুত্ব যখন অধিক ছিল, তখন হাওড়া নদীর তীরবর্তী গঙ্গাসাগর ছিল মূলত আগরতলার নদী-বন্দরস্বরূপ। । গঙ্গাসাগরের পূর্বনাম ছিল রাজদরগঞ্জ বাজার। এ বাজার তৎকালীন সময়ের বিশিষ্ট ব্যাংক ‘দি এসোসিয়েটেড ব্যাংক লি. অফ ত্র...

শহীদ আব্দুল হালিম রেলওয়ে সেতু, আশুগঞ্জ | ভৈরব ১ম রেলওয়ে সেতু

ছবি
শহীদ আব্দুল হালিম রেলওয়ে সেতু, আশুগঞ্জ হচ্ছে  বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব ও আশুগঞ্জ উপজেলার মাঝে মেঘনা নদীর উপর অবস্থিত একটি রেলওয়ে সেতু। একই স্থানে পাশাপাশি দুটি রেলওয়ে সেতু রয়েছে। প্রথমটি হচ্ছে “শহীদ আব্দুল হালিম রেলওয়ে সেতু” বা “ভৈরব প্রথম রেলওয়ে সেতু” (পূর্বে “কিং জর্জ-ষষ্ঠ সেতুু” নামে পরিচিত ছিল), এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে “জিল্লুর রহমান রেলওয়ে সেতু” বা “ভৈরব দ্বিতীয় রেলওয়ে সেতু”। সেতু দুটির পাশেই সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু অবস্থিত।   ভৈরব প্রথম রেল সেতু  ১৯৩৫ সালে ব্রিটিশ সরকারের অর্থায়নে প্রথম সেতুটির নির্মান কাজ শুরু হয় এবং ১৯৩৭ সালে শেষ হয়। সেতুটির উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন বাংলার প্রধানমন্ত্রী আবুল কাশেম ফজলুল হক। তৎকালীন ব্রিটিশ সরকারের রাজা ষষ্ঠ জর্জের নামানুসারে এই সেতুর নাম 'কিং জর্জ ষষ্ঠ সেতুু' রাখা হয়। এই সেতু দিয়ে প্রথম মালবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয় ১৯৩৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর। ১৯৩৭ সালের ৬ ডিসেম্বর এর ওপর দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়। ১৯৭১ সালের ১৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময় সেতুটি ধ্বংসপ্রাপ্ত হলে সেতুটি পুনঃনির্মান ক...

ব্লগারে পোস্ট ইনডেক্স সমস্যার কারন এবং ইনডেক্স সমস্যার সমাধান | Bogger post indexing problem Solve

ছবি
ব্লগারে পোস্ট ইনডেক্স সমস্যার কারন এবং ইনডেক্স সমস্যার সমাধান | Blogger post indexing problem solve |  আসসালামু আলাইকুম Naeem Bangla চ্যানেলের পক্ষ থেকে আপনাকে স্বাগতম। প্রিয় ব্লগার বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজকে আপনার কাছে আমি যে বিষয়টি তুলে ধরব সেটি হচ্ছে ব্লগার পোস্ট ইনডেক্স সমস্যা এবং ইনডেক্স সমস্যার সমাধান । ব্লগে ইনডেক্স সমস্যা একটি কমন সমস্যা। বেশিরভাগ ব্লগার বিশেষ করে যারা নতুন ব্লগে জয়েন হয়েছে কিংবা ব্লগিং শুরু করেছে তাদের বেশিরভাগই এই ইনডেক্স সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। আবার কেউ কেউ এই ইনডেক্স সমস্যার কারনে ব্লগিং ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। তো আমি আজকে ইনডেক্স সমস্যার কারন এবং সমাধান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনি যদি আমার এই পোস্টটি পড়ে কিছু না বুঝতে পারেন তাহলে আপনি কখনো এই সমস্যার সমাধান করতে পারবেন না। এছাড়াও আমি ব্লগস্পট অর্থাৎ সাব-ডোমেনে মাত্র ২ মিনিটে পোস্ট ইনডেক্স করি (গুগুল নিউজ এপ্রুভ ছাড়া)। আমি নিচে যে সমস্যাগুলি তুলে ধরব আপনি যদি সেই কারনগুলার সমাধান করতে পারেন তাহলে আপনারও খুব দ্রুত ইনডেক্স হবে। পোষ্ট ইনডেক্স কেন হয় না...

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অ্যান্ডারসন সেতুর ইতিহাস

ছবি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অ্যান্ডারসন সেতুর ইতিহাস বলতে গেলে ১৯৫০ এর ১২ই ফেব্রুয়ারি অ্যান্ডারসন সেতুর ওপর পূর্ব পাকিস্তান প্রশাসনের মদতে বাঙালি হিন্দু তীর্থযাত্রীদের ওপর করা আক্রমণকে বুঝায়। পটভূমি মেঘনা নদীর ওপর তৈরি কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব বাজার জংশন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ স্টেশনের মাঝে একমাত্র সংযোগকারী ১কিমি লম্বা সেতুটাই অ্যান্ডারসন সেতু। বর্তমানে একে ভৈরব সেতু বলা হয়। সেতুর ওপর একটাই মিটার গেজ রেললাইন আছে। ১৯৫০ এ এই সেতুটাই ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, কুমিল্লা এবং চট্টগ্রাম জেলার মাঝে রেলযোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিল। ঘটনাবলী এই সেতুর ওপর একটা বিশেষ পদ্ধতিতে পরিকল্পনা করে পলায়নরত হিন্দুদের হত্যা করা হয়। আনসাররা সেতুর দুপ্রান্তে ভৈরব বাজার জংশন বা আশুগঞ্জ স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠে পড়তো। ট্রেনটা হাইজ্যাক করে ভেতর থেকে দরজা-জানালা বন্ধ করে দিতো। সম্পূর্ণভাবে সেতুর ওপর উঠে পড়লে চালক ট্রেনটা থামিয়ে দিতো। এরপর আনসাররা প্রত্যেক হিন্দুকে এক এক করে টেনে বের করে এনে তাদের হত্যা করে মৃতদেহটা সেতুর ওপর থেকে নদীর জলে ফেলে দিতো। তথাগত রায়ের মতে, এই হত্যাকাণ্ডটা সম্পূর্ণ পরিকল্পনা করেই করা...