আরিফিল মসজিদ | আড়িফাইল মাজার

আরিফিল মসজিদ (আড়িফাইল মসজিদ নামে পরিচিত) বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক স্থাপত্য যার অবস্থান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার আরিফাইল গ্রামে। এটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এর তালিকাভুক্ত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা। স্থানীয়ভাবে এটি আইড়ল বা আড়িফাইল নামে পরিচিত। মসজিদটি সরাইল উপজেলা সদরের আরিফাইল গ্রামে সাগরদিঘীর পাশে অবস্থিত। সদর হতে এর দূরত্ব অর্ধ কিলোমিটার।

আরিফিল মসজিদ (আড়িফাইল মসজিদ নামে পরিচিত)


ইতিহাস

মসজিদটি নির্মিত হয় ১৬৬২ সালে। স্থানীয় জনশ্রুতি অনুসারে দরবেশ শাহ আরিফ এই মসজিদটি নির্মাণ করেন এবং তার নামানুসারে এই মসজিদের নামকরণ করা হয়।


অবকাঠামো

মসজিদটির আয়তন ৮০x৩০ ফুট এবং দেয়ালের পুরুত্ব প্রায় সাড়ে পাঁচ ফুট । মসজিদটির মোট প্রবেশপথ ৫ টি , যার তিনটি হল পূর্বদিকে এবং বাকিদুটি যথাক্রমে উত্তর ও পূর্বদিকে। মসজিদের চার কোনায় চারটি বুরুজ রয়েছে। এটিতে মোট তিনটি গম্বুজ রয়েছে। গম্বুজগুলোর নিচে মসজিদের অভভন্তরভাগে তিনটি বে রয়েছে যা ভিতরের অংশকে তিন ভাগে ভাগ করেছে। গম্বুজগুলোতে পদ্মফুল অঙ্কিত রয়েছে। মসজিদের দেয়ালের বাইরের দিকটি চারকোণা খোপ দিয়ে সজ্জিত। এটি সংরক্ষনের জন্য টাইলস ও চুনকাম করা হয়েছে। তবে পূর্বের কাঠামো এখনও টিকে আছে। মসজিদের পাশে একটি মাজার রয়েছে।


আরিফাইল মসজিদের উত্তর পাশে রয়েছে একটি পুকুর এবং মসজিদের পশ্চিম পাশে রয়েছে আড়িফাইল মাজার যা জোড়াকবর নামে পরিচিত এবং এলাকার এক তৃতীয়াংশ জায়গা জুড়ে অবস্থিত। মসজিদের পাশে পুকুরটি সাগরদিঘী নামে পরিচিত।


আড়িফাইল মাজার

বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান।

আড়িফাইল মাজার বা আরিফিল মাজার (জোড়াকবর নামেও পরিচিত)


আড়িফাইল মাজার বা আরিফিল মাজার (জোড়াকবর নামেও পরিচিত) বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা যার অবস্থান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা। এটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা। সমাধিটি সরাইল উপজেলা সদরের আরিফাইল গ্রামে সাগর দিঘীর পাশে অবস্থিত। সদর হতে দূরত্ব প্রায় আধা কিলোমিটার।


ইতিহাস

স্থানীয় জনশ্রুতি অনুসারে শাহ আরিফ সাধকের নামানুসারে সমাধির নামকরণ করা হয়। সমাধির দক্ষিণ পাশে রয়েছে আড়িফাইল মসজিদ।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

কুমিল্লা বিমানবন্দর