রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান রেলওয়ে সেতু বা ভৈরব দ্বিতীয় রেলওয়ে সেতু
রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান রেলওয়ে সেতু বা ভৈরব দ্বিতীয় রেলওয়ে সেতু বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব ও আশুগঞ্জ উপজেলার মাঝে মেঘনা নদীর উপর অবস্থিত একটি রেলওয়ে সেতু।
ইতিহাস
২০১৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর ঢাকা-চট্টগ্রাম ডাবল লাইনের অংশ হিসেবে দ্বিতীয় ভৈরব রেল সেতুর নির্মাণ শুরু হয়। ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইরকন ও এফকন্স যৌথভাবে বর্তমান ভৈরব প্রথম রেলওয়ে সেতুর ৪০ মিটার দক্ষিণ প্রান্তে আরও একটি রেল সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করে। প্রকল্পের মেয়াদ অনুযায়ী ২০১৬ সালের জুন মাসে সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত ২০১৫ সালে ঘন ঘন হরতাল অবরোধের প্রভাব আর বর্ষা মৌসুমে নদীতে তীব্র স্রোত থাকায় সেতুটির নির্মাণ কাজ বাধাগ্রস্ত হয়, ফলে প্রকল্প নির্ধারিত সময়ে শেষ করা যায়নি। প্রথম ধাপে নির্মাণ কাজের সময়সীমা ৬ মাস বাড়িয়ে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু ভারতের কলকাতা থেকে নৌপথে বাংলাদেশের ভৈরবে সেতুর ‘স্প্যান’ আনার পথে নৌ-দুর্ঘটনার শিকার হয় একটি কার্গো। ফলে সেতুটির নির্মাণ কাজে বিলম্ব হয় এবং পরে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দ্বিতীয় দফায় আরও ৬ মাস প্রকল্পের সময়সীমা বাড়িয়ে ২০১৭ সালের জুন মাসে নির্ধারিত করা হয়। পরে ২০১৭ সালে নির্মানকাজ শেষ হয় এবং ২০১৭ সালের ৯ নভেম্বর সেতুটি উদ্বোধন করা হয়। ৫৬৭ কোটি ১৬ লাখ/৬২০ কোটি বাংলাদেশী টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মিত। অর্থের জোগান এসেছে ভারতীয় ঋণ সহায়তা (এলওসি ফান্ড) থেকে। এর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানও ভারতীয়। ইরকন-এফকনস জেভি নামে একটি কোম্পানি সেতুটি নির্মাণ করছে। সেতুটি ইস্পাতের তৈরি। এতে মোট ১২টি পিলার ও ৯টি স্প্যান রয়েছে। প্রতিটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য ১০০ মিটার, ভর ৮০০ টন। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৯৮৪ মিটার/১.০২ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ৭ মিটার। এতে মিটার-গেজ ও ইন্ডিয়ান-গেজ মিলে ডুয়েল-গেজ ট্র্যাক রয়েছে। সেতুটি বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের নামে নামকরণ করা হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন